Breaking News

উদ্যোক্তা তৈরিতে পিকেএসএফকে সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক

প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের পরিবেশগতভাবে টেকসই ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলোকে সহায়তা করা।

পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ‘সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি)’ প্রকল্পের জন্য ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের পরিবেশগতভাবে টেকসই ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলোকে সহায়তা করা।
সম্প্রতি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে প্রকল্পটির ঋণচুক্তি এবং প্রকল্প চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্প্রতি পিকেএসএফ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ব্যাংকটির ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান এবং পিকেএসএফের পক্ষে এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল করিম স্বাক্ষর করেন।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল করিম বলেন, এসইপি প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংকের দ্রুততম সময়ে নেগোসিয়েশন সম্পন্ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি। তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য ইআরডি, এফআইডি, বিশ্বব্যাংক এবং পিকেএসএফ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, ইআরডি এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ সমর্থন প্রদান করবে। তিনি এই প্রকল্পের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান বলেন, বেশিরভাগ দেশই ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি মাথায় রাখে না, যা পরবর্তীতে ব্যাপক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পিকেএসএফের অর্থায়নকৃত লক্ষ্যভুক্ত ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলোতে পরিবেশগত দিক থেকে টেকসই পদ্ধতির চর্চা রপ্ত করতে সহায়তা করা।
প্রকল্পের মোট বাজেট ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা প্রদান করবে এবং পিকেএসএফ ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করবে। প্রকল্পটি পিকেএসএফ মনোনীত সহযোগী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে পাঁচ বছরে বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি ব্যবসাগুচ্ছ ভিত্তিক সাব-সেক্টর চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র উদ্যোগকে উৎসাহিত করবে। কৃষি ও উৎপাদন খাতের ৩০টি সাব-সেক্টরকে এই প্রকল্পের আওতায় বিবেচনা করা হবে। প্রাথমিকভাবে ৩০টি লিড জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে যার প্রাপ্ত ফলাফল পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলাতেও প্রতিফলন আকারে বিস্তার ঘটানো হবে।

 

No comments