জুভেন্টাস তাকে কিনে নিয়েছে
রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে যাচ্ছেন
রোনালদো। এমন গুঞ্জন শুরু হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের পর থেকেই।
সেই সম্ভাবনা বা গুঞ্জন কথাটি বুঝি মুছে যাচ্ছে নিমেষেই। সান্তিয়াগো
বার্নাব্যু ছেড়ে ৩৩ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ তারকা পাড়ি জমাচ্ছেন সিরি ‘এ’ তে।
জুভেন্টাসের সাদাকালো ডোরাকাটা জার্সিতে তুরিনের স্টেডিয়ামে রোনালদোকে
পরিচয় করিয়ে দেওয়া এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।
আগামী মৌসুমেই হইতো জুভেন্টাসের জার্সি
গায়ে মাঠে নামবেন রোনালদো। জুভেন্টাস তাকে কিনে নিয়েছে ১০৫ মিলিয়ন ইউরোয়।
সব কিছু ঠিকঠাক হওয়ার পর ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন
সময়ে সেরা এই ফুটবল তারকা।
ভক্তদের উদ্দেশে চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমি
দীর্ঘ সময় ধরে ভেবেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন কিছু শুরু করার সময় এসেছে।
আমি এ জার্সি ছেড়ে যাচ্ছি কিন্তু যেখানেই থাকি না কেন এই ক্লাব (রিয়াল
মাদ্রিদ) ও সান্তিয়াগো বার্নাব্যু আমার অংশ হয়ে থাকবে।’
রিয়াল মাদ্রিদে কাটানো দিনগুলোর
স্মৃতিচারণ করে লিখেছেন, এখানে নয়টা বছর খুবই চমৎকার কেটেছে। আমার জন্য
সময়টা রোমাঞ্চকর ছিল। সেই সঙ্গে কঠিনও ছিল। কারণ, রিয়াল মাদ্রিদ খুবই
চ্যালেঞ্জিং একটা ক্লাব। তবে আমি খুব ভালো করেই জানি, আমি এখানে দারুণভাবে
ফুটবল উপভোগ করেছি। আমি কখনই ভুলবো না।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রিয়ালের হয়ে
সর্বোচ্চ ৪৫১ গোলের মালিক রোনালদো লিখেছেন, মাঠ ও ড্রেসিং রুমে আমার চমৎকার
কিছু সতীর্থ ছিল। আমি অবিশ্বাস্য সব সমর্থকদের উষ্ণতা অনুভব করেছি।
একসঙ্গে আমরা টানা তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছি। পাঁচ বছরে চারবার
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছি। রিয়াল মাদ্রিদ আমার হৃদয়, আমার পরিবারের হৃদয় জয়
করেছে।
বিদায়পর্বে ক্লাবের হয়ে ভক্তদের কাছে
ক্ষমা চেয়ে লিখেছেন, ‘যা হোক, আমি বিশ্বাস করি জীবনের নতুন ধাপে পা রাখার
সময় হয়েছে। এ কারণে ক্লাবকে বলেছিলাম আমাকে চলে যাওয়ার অনুমতি যেন তারা
দেয়। আমি এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। সবাইকে বলি বিশেষ করে ক্লাবের সমর্থকদের,
দয়া করে আমাকে বোঝার চেষ্টা করুন।’
সবশেষে, ‘সবাইকে ধন্যবাদ এবং এ স্টেডিয়ামে নয় বছর আগে প্রথমবার যেমন বলেছিলাম, হালা মাদ্রিদ!’
No comments