মেরিন একাডেমি ভর্তি তথ্য ২০১৮
- নেভিগেশন
- ইঞ্জিনিয়ারিং
- রেডিও অ্যান্ড অয়্যারলেস কমিউনিকেশন।
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমীতে নেভিগেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং, রেডিও অ্যান্ড ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনে লেখাপড়া করার সুযোগ রয়েছে।
নেভিগেশন
কার্গো ওঠানামা এবং যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেভিগেশন ডিপার্টমেন্টের। জাহাজের নাবিকদের নিরাপত্তাও দেখতে হয় এই বিভাগকে। জাহাজের ক্যাপ্টেন হলো নেভিগেশন ডিপার্টমেন্টের প্রধান। খারাপ আবহাওয়ায় জাহাজ কোন পথে এবং কিভাবে যাবে, তা ঠিক করেন ক্যাপ্টেন। তাদের সাহায্য করেন এই বিভাগের অন্যান্য ইঞ্জিনিয়াররা।
ইঞ্জিনিয়ারিং
জাহাজের যান্ত্রিক অবস্থা দেখাশোনার দায়িত্ব রয়েছে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের। ইঞ্জিনিয়ারিং যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হয় তাদের।
রেডিও অ্যান্ড ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন
টেলিফোনের যোগাযোগ ব্যবস্থা পরিচালনা করেন এই বিভাগের কর্মীরা। সার্ভিস ডিপার্টমেন্টে জাহাজের কেটারিং যোগাযোগ করে এই বিভাগ।
মেরিন ডিগ্রীপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত মেরিন ফিসারিস একাডেমী (এমএফএ) চট্রগ্রাম, মেরিন একাডেমী চট্রগ্রাম। এছাড়াও কিছু বেসকারী প্রতিষ্ঠান মেরিন ডিগ্রী প্রদান করে থাকে।
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমীতে ভর্তির যোগ্যতাঃ
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
(i) মাধ্যমিক/সমমান ও উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান উভয় পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে নূন্যতম জিপিএ-৩.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
(ii) উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পদার্থ ও গণিত বিষয়ে পৃথকভাবে জিপিএ-৩.৫০ এবং ইংরেজিতে নূন্যতম জিপিএ-৩.০০ পেতে হবে।
(iii) ইংরেজি মাধ্যমের পরীক্ষার্থীদের জন্য 'ও' লেভেলে ৬ টি বিষয়ের মধ্যে নূন্যতম ৩ টিতে A গ্রেড এবং ২ টিতে B গ্রেড থাকতে হবে। "এ" লেভেলের জন্য নূন্যতম ২ টি বিষয়ে B গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ (উভয় পরীক্ষায় পদার্থ ও গণিতসহ) হতে হবে।
শারীরিক যোগ্যতাঃ
(i) উচ্চতা: পুরুষ ৫'৪"; মহিলা ৫'২"।
(ii) ওজন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার BMI চার্ট মোতাবেক হতে হবে। (BMI নূন্যতম ১৭ এবং সর্বোচ্চ ২৭; যেমন ৫'৪": ৪৫-৭১ কেজি; ৫'৬": ৪৮-৭৬ কেজি)
(iii) দৃষ্টিশক্তি: নটিক্যাল ক্যাডেটের জন্যে ৬/৬; ইঞ্জিনিয়ারিং কাডেটের জন্যে ৬/১২ (চশমাসহ অবশ্যই ৬/৬ হতে হবে)
অন্যান্য যোগ্যতাঃ
· আবেদনকারীকে অবিবাহিত হতে হবে।
· যে বছর প্রার্থী দরখাস্ত করবে সে বছর ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রার্থীর ২১ বছর হতে হবে৷ প্রার্থীর জন্মতারিখ এস.এস.সি. সার্টিফিকেট অনুযায়ী হতে হবে৷
· প্রার্থীকে অবশ্যই সাঁতার জানতে হবে।
প্রশিক্ষণের বিষয়সমূহঃ
সমুদ্রগামী জাহাজের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। যেমনঃ
- জাহাজ চালনা
- নৌ-প্রকৌশল
- ইলেকট্রনিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা
- হোটেল সার্ভিস
তিন বছরের কোর্স শেষে এসব বিভাগের যেকোনো একটিতে যোগ দেওয়া যায়। তবে যারা প্রি-সি নটিক্যাল সায়েন্সে পড়াশোনা করেন, তাদের জন্য জাহাজ চালনা বিভাগে যোগদান করাই উত্তম এবং প্রি-সি মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্নকারীদের জন্য নৌ-প্রকৌশল বিভাগে যোগ দেওয়া শ্রেয়।
অন্যান্য সুবিধাঃ
· পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। কোর্সটিতে দুই বছরের তাত্তিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এক বছর সরাসরি সমুদ্রগামী জাহাজে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এই এক বছরে প্রত্যেক ক্যাডেট মাসিক ৪০০ থেকে ৫০০ ডলার বেতন পাবেন (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা)
· কোর্স সম্পন্ন করার পর সাত থেকে আট বছরের মধ্যে জাহাজের ক্যাপ্টেন অথবা চিফ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগ রয়েছে। একজন ক্যাপ্টেন অথবা চিফ ইঞ্জিনিয়ারের মাসিক বেতন ১০ থেকে ২০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় আট লাখ ২০ হাজার থেকে ১৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা)
· তিন বছরের কোর্স শেষে একজন ক্যাডেট লাভ করবেন প্রি-সি মেরিন (মার্চেন্ট মেরিন) সার্টিফিকেট। সমুদ্রগামী জাহাজ ছাড়াও দেশি-বিদেশি নৌ বন্দর, জাহাজ ব্যবস্থাপনা সংস্থা, পাওয়ার প্লান্টেও কাজের সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া রয়েছে জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, দেশি-বিদেশি তেল কম্পানিসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় কাজের সুযোগ
আমি একজন কমার্সের ছাত্র,,,,,ব্যাচ ২০১২,,,আমি কি ভর্তি হতে পারবো?
ReplyDelete