রংপুরে মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যক্রম ১ জুলাই থেকে
জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে রংপুর মেট্রোপলিটন
পুলিশের কার্যক্রম। প্রায় ১২শ’ জনবল নিয়ে যাত্রা শুরুর প্রক্রিয়ায় ইতোমধ্যে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার পদ
মর্যাদার দুজন কর্মকর্তাকে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। ঈদের আগেই বাসা ভাড়া নেওয়াসহ
সার্বিক কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতিও চলছে। তবে
পুরোপুরি জনবল নিয়োগ এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত কমিশনার ও সহকারী
কমিশনারসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে এখনও পোস্টিং দেওয়া হয়নি।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন
কর্মকর্তা জানান, মোট ১১৮৫ জন পুলিশ সদস্যের জনবল নিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করার
জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় অনুমতি দিয়েছে। ইতোমধ্যে ডেপুটি পুলিশ
কমিশনার পদে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন— মহিদুল ইসলাম ও
ইবনে মোত্তাহি মিনা। এদের মধ্যে মহিদুল ইসলাম ডেপুটি পুলিশ কমিশনার হিসেবে
যোগদানের পর প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করেছেন।
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মহিদুল ইসলাম
জানান, আপাতত নগরীর ধাপ এলাকায় নবনির্মিত দোতলা ভবনের পুলিশ ফাঁড়িতেই মেট্রোপলিটন
পুলিশের কার্যক্রম শুরু হবে। পুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত কমিশনার নিয়োগ হওয়ার পর ধাপ অথবা আর কে রোডের যেকোনও ৪/৫ তলা
বাড়ি ভাড়া নিয়ে অফিস স্থাপন করা হবে। সেজন্য বাসা খোঁজা হচ্ছে। এছাড়া, আসবাবপত্রসহ
আনুষঙ্গিক মালামাল স্থাপনসহ অন্যান্য কাজ দ্রুত চলছে।
তিনি আরও জানান, নগরীকে ৯টি থানায় ভাগ
করে মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে। থানাগুলো হলো— কোতোয়ালি,
পশুরাম, তাজহাট, পায়রাবন্দ, মাহিগঞ্জ, হারাগাছ, হাজিরহাট, পাগলাপীর ও শ্যামপুর।
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মহিদুল ইসলাম জানান, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে
কমিশনার ও অতিরিক্ত কমিশনার ছাড়াও দুই জন ডিসি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছয় জন, এএসপি
১২ জন, ইন্সপেক্টর ২০ জন, এআই ১২০ জন ও এএসআই ২৫০ জনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ
সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, রংপুরে মেট্রোপলিটন পুলিশ
কার্যক্রম শুরু করার জন্য জাতীয় সংসদে আইন পাস করা হয়েছে। যা রাষ্ট্রপতি ইতোমধ্যে অনুমোদনও করেছেন।
গেজেটও হয়ে গেছে।
--বাংলা ট্রিবিউন
No comments