Breaking News

জনশক্তি রফতানি : অবশেষে দুয়ার খুলছে আমিরাতের

প্রায় ছয় বছর পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার খুলতে যাচ্ছে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া একেবারেই কমিয়ে দেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। এখন ১৯টি খাতে বাংলাদেশি কর্মী নেবে আমিরাত। সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ৬০০ ডলার (৫০ হাজার টাকা)।
বুধবার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বিষয়ে দুবাইতে দেশটির সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গেই তা কার্যকর হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছিল। কয়েক দফায় বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। চূড়ান্ত আলোচনা শেষে উভয় দেশের আগ্রহ ও সম্মতির ভিত্তিতে সমঝোতা স্মারক সই হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদার বর্তমানে আরব আমিরাত সফর করছেন। সফরে তিনি বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৯ ক্যাটাগরির কর্মী নিয়োগ বিষয়ে দেশটির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। আমিরাতের পক্ষে সমঝোতায় সই করেন মিনিস্ট্রি অব হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড এমিরেটাইজেশন-এর আন্ডার সেক্রেটারী সাইফ আহমেদ আল সুআইদি।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নারী-পুরুষ উভয় শ্রেণির কর্মী যাবেন সমঝোতা স্মারকের অধীনে। তবে প্রথম পর্যায়ে শুধু নারীরা যাবেন। তবে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আমিনুল ইসলাম জানান, নারী ও পুরুষ দুই ধরনের কর্মী যাবেন। তিনি বলেন, নারীদের কাজ করার মতো ১৯টি খাতই নেই আরব আমিরাতে।  তবে সমঝোতা স্মারকের আওতায় কত সংখ্যক কর্মী আরব আমিরাত যাবেন, তা নির্ধারণ করা হয়নি।
প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী জানান, আরব আমিরাতের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী পাঠানো হবে। তাদের চাহিদার বিপরীতে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠানো হবে। সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। এর মধ্যে অন্যতম ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ থেকে চার লাখ ২০ হাজার কর্মী নিয়েছিল আমিরাত। পরের বছরগুলোতে বার্ষিক দুই লাখের বেশি করে বাংলাদেশি কর্মী দেশটিতে যান। ২০১২ সালে দুই লাখ ১৫ হাজার কর্মী আমিরাত যান।  কিন্তু ২০১২ সালের ১২ আগস্ট নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয় দেশটি। এরপর থেকে পাঁচ বছর কেটে গেলেও দেশটিতে নতুন করে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ ছিল।

No comments