দেশের প্রথম যোগাযোগ স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’
আসছে মার্চ ২০১৮
দেশের প্রথম যোগাযোগ স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’
মার্চ ২০১৮ বাঙালি জাতিকে আরও একটি ঐতিহাসিক দিন উপহার দিতে যাচ্ছে।
কারণ, এই মাস কক্ষপথে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট স্থাপনের মাস। দেশের
প্রথম যোগাযোগ স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’- এর উৎক্ষেপণে মাধ্যমে `স্যাটেলাইট
ওনার্স ক্লাবের ৫৭তম সদস্য দেশ হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই
উৎক্ষেপণ উদযাপনের জন্য সরকার আসন্ন ২০১৮ সালের ১লা মার্চ থেকে সারাদেশে
মাসব্যাপী কাউন্টডাউন উৎসব করতে যাচ্ছে।এক নজরে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১
প্রযুক্তিগত তথ্য:
কক্ষপথের অবস্থান: ১১৯.১ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা
ট্রান্সপোন্ডার(radio frequency identification): ১৪ সি ব্যান্ড, ২৬ কে ব্যান্ড
ট্রান্সপোন্ডার সংখ্যাঃ ৪০টি (১ ট্রান্সপোন্ডার = ৩৬ এম.এইচ)
স্পেসক্রাফ্টঃ স্পেসবাস- ৪০০০
রকেটঃ ফেলকন-৯ ফুলথ্রাস্ট
নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানঃ ফ্রান্সের থালেস এলেনিয়া স্পেস
গ্রাউণ্ড স্টেশনঃ গাজীপুর
উৎক্ষেপণের স্থান: ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহারের মাধ্যমে যা পাবে বাংলাদেশ
– মাত্র ২০টি ট্রান্সপোন্ডার ব্যবহার করেই বছরে ১১০ থেকে ১২০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে সক্ষম হবে।
– অতিরিক্ত ২০টি ট্রান্সপোন্ডার ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আসবে প্রায় ৪১৫ কোটি টাকা
-মহাকাশ গবেষণার পথ সহজ হবে।
-এটি সার্ক সদস্য রাষ্ট্রসমূহ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, তুর্কমেনিস্তান, কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের মতো দেশেও সেবা প্রদানে সক্ষম হবে।
– আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কে সঠিক তথ্য নিয়ে দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
– সামরিক বাহিনী আরও শক্তিশালী হবে।
– গভীর সমুদ্র ও দুর্গম এলাকায় প্রাকৃতিক সম্পদের অনুসন্ধান করা যাবে।
– দেশবাসী ফোর-জি এমএনসি স্যাটেলাইট সুবিধা পাবেন যার ফলে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধির পাশাপাশি ইন্টারনেট আরও সাশ্রয়ী হবে।
জাতির জন্য স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের এই দিনটি একটি বড় মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রথম মহাকাশ বিজয় করতে যাচ্ছে, এটি একটি বড় অর্জন, যা প্রতিটি বাংলাদেশি নাগরিকের জন্যই হবে অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের।

No comments