Breaking News

প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষরা ভোট দিতে পারবেন না


বেসরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষকরা বেসরকারি স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে ভোটাধিকার হারিয়েছেন। একইভাবে বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষরাও পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে ভোটাধিকার হারিয়েছেন। ঢাকা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত “সাধারণ শিক্ষকের” নতুন সংজ্ঞায় প্রধান শিক্ষক, সহকারি প্রধান শিক্ষক অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষরা পড়েন না। আর তাই তারা শিক্ষক হিসেবে ম্যানেজিং কমিটি ও পরিচালনা পর্ষদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উচ্চ আদালতের আদেশে ও সরকারের অনুমোদনক্রমে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড “মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও গভর্নিং বডি প্রবিধানমালা ২০০৯” সংশোধন করে পরিপত্র জারি করেছে। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর জারি করা পরিপত্রটি ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি গেজেট আকারে প্রকাশ হয়। গেজেটে সংযোজিত ও উল্লেখিত “সাধারণ শিক্ষকের” নতুন সংজ্ঞায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের প্রধান শিক্ষক, সহকারি প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষরা পড়েন না। গেজেটে উল্লেখিত প্রবিধান ২ থ-এ সংযোজন “সাধারণ শিক্ষক বলতে প্রধান শিক্ষক/সহকারি প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ ব্যতিত অপরাপর শিক্ষকগণকে বোঝাইবে”।
জানা যায়, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: মাহবুবুর রহমান গত কয়েকদিন যাবত খাটাখাটি করে ২২ ডিসেম্বর পরিপত্র ও ১ জানুয়ারি সংশোধিত গেজেট জারি করিয়েছেন। ৪ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে এই গেজেটটি দাখিল করতে হবে বলে জানা গেছে।
ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের বাংলা মাধ্যমের দিবা শাখার সহকারি প্রধান শিক্ষক আ: ছালাম খান সম্প্রতি উচ্চ আদালতে একটি রিট দায়ের করেছেন। ওই রিট আবেদনে তিনি সহকারি প্রধান শিক্ষকও শিক্ষক এবং ভোটাধিকার প্রয়োগের দাবি করেছেন।
ঠিক এই সময়ে ঢাকা বোর্ড গেজেট প্রকাশ করে সাধারণ শিক্ষকের সংজ্ঞা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা বোর্ড যে কাজটি দুদিন আগে করলেন ঠিক এই কাজটিই বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আরো কয়েকমাস আগে করেছেন।

নিচে গেজেটের কপি দেয়া হলো:
 

No comments