Breaking News

"কীভাবে বিখ্যাত হতে হয়? আমি বিখ্যাত হতে চাই!"


জাফর ইকবাল স্যারকে এক বাচ্চা একবার একটা চিঠি পাঠিয়েছিল। চিঠিতে সে সরলভাবে জানতে চেয়েছিল- "কীভাবে বিখ্যাত হতে হয়? আমি বিখ্যাত হতে চাই!"
জাফর স্যার তাকে একটা অসাধারণ উত্তর দিয়েছিলেন। উত্তরটা হচ্ছে- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের কনসেন্ট্রাশান ক্যাম্পে একটা মেয়ে মারা গিয়েছিল, মেয়েটার নাম অ্যানি ফ্রাংক। অ্যানি ফ্রাংকের মৃত্যুর পর তাঁর লেখা গোপন ডায়েরিটি তাঁকে বিশ্বজুড়ে জগদ্বিখ্যাত করে দিয়েছিল। অথচ মেয়েটিকে যদি জিজ্ঞেস করা হতো, তুমি অবিখ্যাত হিসেবে বেঁচে থাকতে চাও নাকি মরে বিশ্ববিখ্যাত হতে চাও, সে সম্ভবত যেকোনোভাবে বেঁচে থাকাটাকেই বেছে নিতো! সে কি জানে মরে যাওয়ার পর সে কতো বিখ্যাত?

বিখ্যাত হওয়াটা অনেকটা লটারির টিকেট জেতার মতো। অনেক বিখ্যাত মানুষ আছেন যাদের মানুষের সাথে আচরণ এতো খারাপ যে মনে হবে- কোন দুঃখে এই লোকটির কাজগুলি পছন্দ হয়েছিল? তেমনি অনেক অবিখ্যাত মানুষ আছেন যারা রাতদিন মানবজাতির উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের কেউ চেনেনা, কিন্তু তাদের কাজটা অসম্ভব দামী কিছু!
যেমন- আইনস্টাইনকে পৃথিবীতে যতজন চেনে, তারচেয়ে বেশি মানুষ পপ তারকা শাকিরাকে চেনে। ইউরেনিয়াম, পলেনিয়াম আবিষ্কর্তা মেরি কুরীকে যতজন চেনে তারচেয়ে বেশি মানুষ টম ক্রুজকে চেনে!
কাজেই মানুষ চিনল কিনা, জানলো কিনা এটা গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- আমি পৃথিবীর জন্য সত্যিই কিছু করলাম কিনা! কারন পোলিও ভ্যাকসিনের আবিষ্কর্তাকে পৃথিবীর যতজন চেনে, তারচেয়ে অনেকবেশি চেনে হিটলার, চেঙ্গিস খান, জর্জ বুশ নামক যুদ্ধবাজ অমানবিক প্রেসিডেন্টদের! এরা তাদের কু-কাজের জন্য বিখ্যাত হয়েও কুখ্যাত!
তাই জীবনের উদ্দেশ্য বিখ্যাত হওয়া নয়, জীবনের উদ্দেশ্য জীবনটি সত্যিই জীবনের মতন যাপন করা! জীবনের উদ্দেশ্য- আমি এই জীবনটিকে ‘জীবন’ হিসেবে যাপন করেছিলাম সেখানে! জীবনটি যদি ‘জীবনে কিছুই করতে পারলাম না’ আফসোসে কাটিয়ে দেই, তাহলে জীবনটিকে যাপন করবো কোন জীবনে?
Collected

No comments