Breaking News

যে উপন্যাসের কারণে হামলা হয় জাফর ইকবালের ওপর!

‘ভূতের বাচ্চা সোলায়মান’ নামক উপন্যাস লিখে নবী সোলায়মান (আ.) কে ব্যঙ্গ করায় অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে হামলাকারী ফয়জুর রহমান।
র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই স্বীকারোক্তি দেয় ফয়জুর। সে বলেছে, জাফর ইকবাল ইসলামের শত্রু, তাই তাকে হত্যা করার জন্য হামলা করেছি। উনি নিজেও নাস্তিক এবং অন্য সবাইকেও নাস্তিক বানানোর জন্য প্রচার করে বেড়াচ্ছেন। তার লেখা পড়ে মানুষ বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ছে।
রোববার সকালে ফয়জুরের এই স্বীকারোক্তির কথা জানান র‌্যাব-৯ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ।
র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভূতের বাচ্চা সোলায়মান নামক একটি উপন্যাসের কথা উল্লেখ করে ফয়জুর বলেছে, এই উপন্যাসের মাধ্যমে জাফর ইকবাল নবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন। তাই আমি হামলা করেছি।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও কিছু জানা গেছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে কর্নেল আলী হায়দার আজাদ বলেন, হামলাকারী এখন চিকিৎসাধীন। এর বাইরে আর কিছু জানা সম্ভব হয়নি। সে সুস্থ হলে আমরা এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।
উল্লেখ্য, ৩ মার্চ বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হয় ড. জাফর ইকবাল। তাকে পেছন দিক থেকে মাথায় ছুরিকাঘাত করে ফয়জুর নামে এক যুবক।
হামলার পরপরই তাকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে রাত নয়টায় হামলাকারী ফয়জুরকে র‌্যাব সদস্যরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
হামলাকারীর নাম ফয়জুর রহমান ফয়জুল (২৫)। বর্তমানে সে র‌্যাবের হাতে আটক রয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ ও র‌্যাব ফয়জুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে টুকেরবাজার এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো সে। তার বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান স্থানীয় একটি মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ফয়জুলদের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়। বছর দুয়েক আগে তার বাবা টুকেরবাজার এলাকায় জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করেন। ফয়জুলরা তিন ভাই, সে সবার ছোট। অন্য দুভাইয়ের নাম আবুল ও হাসান।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, এই পরিবারটি স্থানীয়দের সঙ্গে মেলামেশা করতো না। এমনকী ফয়জুল স্থানীয় মসজিদে নামাজও পড়তো না। তার লেখাপড়ার বিষয়েও প্রতিবেশীরা কিছুই জানাতে পারেনি। এদিকে, জাফর ইকবালের ওপরে হামলার পর ফয়জুলের পরিবারের সদস্যরা ঘরে তালা মেরে পালিয়ে গেছে।

No comments