ফেসবুক হ্যাকিংঃ হ্যাকাররা যেভাবে পাসওয়ার্ড হ্যাক করে
এই লেখাটি পড়ে আপনি হ্যাকার হতে পারবেন না কিংবা কারো একাউন্ট হ্যাক
করতে পারবেন না। তবে আপনার নিজের একাউন্ট হ্যাকারদের হাত থেকে বাচাতে
পারবেন ।
সময়ের সঙ্গে আমরা নিজেদের অনলাইনে অভ্যস্ত করে ফেলেছি। অনলাইনটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি এর সতর্কতাও মাথায় রাখা আমাদের জন্য আবশ্যক। না হলে পড়ে থাকতে হবে ঝুঁকিতে। যে কোনো সময় নোটিশ ছাড়াই আপনি পড়ে যেতে পারেন হ্যাকারদের খপ্পরে। প্রযুক্তি নির্ভর এই যুগে হ্যাকিংয়ের সাথে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই । ইতোমধ্যেই হয়তবা অনেকেই হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন। হ্যাকিং হল বর্তমান বিশ্বে একটি ডিজিটাল অস্ত্র । অবৈধভাবে কারো একাউন্টে প্রবেশ করা, অনলাইনে নজরদারি করা, কিংবা হ্যাকিং এর মাধ্যমে অর্থ আদায়ের হুমকি থেকে বড় বড় সব অপরাধ করতে হ্যাকারদের জয়জয়কার।
কীভাবে হয় এই হ্যাকিং? হ্যাকাররা কীভাবে বের করে আপনার পাসওয়ার্ড? আপনার পাসওয়ার্ডটি কি সুরক্ষিত? আসুন সবার আগে জেনে নেই কি কি উপায়ে একজন হ্যাকার আপনার পাসওয়ার্ড হ্যাক করতে পারে ।
১। বড় ও জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। অক্ষর, চিহ্ন, সংখ্যা প্রভৃতি মিলিয়ে পাসওয়ার্ড জটিল করে তুলুন।
২। সর্বনিম্ন ৮ অক্ষরের পাসওয়ার্ড দিন। পাসওয়ার্ড যত বড় হবে হ্যাকারের তা বের করতে তত বেশি সময় লাগবে।
৩। মাসে অন্তত একবার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন। একই পাসওয়ার্ড বার বার ব্যবহার করবেন না।
৪। সহজে মনে রাখার জন্য সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না। আপনার কাছে যেটা সহজ সেটা হয়ত আগেই কোনো হ্যাকার ক্র্যাক করে রেখেছে।
৫। ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটের জন্য বা ব্যাংক একাউন্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড বা পিন কোড ব্যবহার করুন।
৬। আপনার একাউন্টে দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবহার করুন ।
সময়ের সঙ্গে আমরা নিজেদের অনলাইনে অভ্যস্ত করে ফেলেছি। অনলাইনটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি এর সতর্কতাও মাথায় রাখা আমাদের জন্য আবশ্যক। না হলে পড়ে থাকতে হবে ঝুঁকিতে। যে কোনো সময় নোটিশ ছাড়াই আপনি পড়ে যেতে পারেন হ্যাকারদের খপ্পরে। প্রযুক্তি নির্ভর এই যুগে হ্যাকিংয়ের সাথে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই । ইতোমধ্যেই হয়তবা অনেকেই হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন। হ্যাকিং হল বর্তমান বিশ্বে একটি ডিজিটাল অস্ত্র । অবৈধভাবে কারো একাউন্টে প্রবেশ করা, অনলাইনে নজরদারি করা, কিংবা হ্যাকিং এর মাধ্যমে অর্থ আদায়ের হুমকি থেকে বড় বড় সব অপরাধ করতে হ্যাকারদের জয়জয়কার।
কীভাবে হয় এই হ্যাকিং? হ্যাকাররা কীভাবে বের করে আপনার পাসওয়ার্ড? আপনার পাসওয়ার্ডটি কি সুরক্ষিত? আসুন সবার আগে জেনে নেই কি কি উপায়ে একজন হ্যাকার আপনার পাসওয়ার্ড হ্যাক করতে পারে ।
১. ফিশিং
আমরা সবাই ওয়েবসাইট ফিশিং সম্পর্কে শুনেছি বা কম বেশি জানি। ফিশিং সম্পর্কে না জানলে একটা উদাহরন দিয়ে বলি, ধরুন আপনি একটি মেইল বা মেসেজ পেলেন যেখানে হুবহু আপনার যেকোন অনলাইন ওয়েবসাইট লগিন পেজের মতো একটা পেজের লিঙ্ক দিয়ে হ্যাকার আপনাকে লগিন করতে বলবে । সেক্ষেত্রে আপনাকে হয়তো কোন অফার বা প্রলোভন দেখাবে । আপনি লগিন করার সাথে সাথে আপনার ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড হ্যাকারের কাছে চলে যাবে ।২. ব্রুট ফোর্স অ্যাটাক
ব্রুট ফোর্স অ্যাটাক কি ? মনে করি আপনার কাছে একটি বন্ধ তালা আছে এবং তার বিপরীতে আপনার কাছে ১০০ চাবি আছে। আপনি জানেন না আসল চাবি কোনটি, এখন কি করবেন? নিশ্চয়ই একের পর এক চাবি তালাতে দিয়ে চেক করে দেখবেন, এবং তালা খোলার চেষ্টা করবেন, তাই না? এই ১০০ চাবির মধ্যে প্রথমে আপনি তালার সাইজ অনুসারে চাবি অনুমান করবেন তারপর আনলক করার চেষ্টা করবেন । ব্রুট ফোর্স অ্যাটাকে ঠিক একই ভাবে হ্যাকার আপনার পাসওয়ার্ড ভাঙ্গার চেষ্টা করে । আর এটা করে কিছু সফটওয়্যারের মাধ্যমে ।৩. ডিকশনারি অ্যাটাক
ডিকশনারি অ্যাটাকে সাধারণ কিছু পাসওয়ার্ডের একটি ডিকশনারি তৈরি করে হ্যাকাররা যার মাধ্যমে অনেক দ্রুত এবং দুর্বল পাসওয়ার্ডগুলো খুব সহজে ক্র্যাক করে করে ফেলা যায়। কত দ্রুত? এর মাধ্যমে একজন হ্যাকার প্রতি সেকেন্ডে ৬ বিলিয়ন পাসওয়ার্ড ম্যাচ করতে পারে ।৪. রেইনবো টেবিল অ্যাটাক
সাধারণত হ্যাকার তার সফটওয়্যার দিয়ে একটি পাসওয়ার্ড অনুমান করে সেটিকে হ্যাশ করে সার্ভারের হ্যাশের সাথে মিলিয়ে দেখে। হ্যাশিং করে তা আবার মিলিয়ে দেখতে অনেক সময় অপচয় হয়। তো কেমন হয় যদি কয়েক মিলিয়ন হ্যাশ করা পাসওয়ার্ডের একটি টেবিল পাওয়া যায় ! রেইনবো টেবিল সেই চাহিদা পূরণ করে। হ্যাশ করা কয়েক মিলিয়ন পাসওয়ার্ড থাকে এই টেবিলে, যার ফলে নতুন করে আর হ্যাশ করা লাগে না । যেহেতু দুটো হ্যাস মিলে গেলেই হল, তাই হ্যাকারকে আসল পাসওয়ার্ড কী তা জানার দরকার পড়ে না। প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩২ বিলিয়ন পাসওয়ার্ড ম্যাচ করা যায় রেইনবো টেবিলের মাধ্যমে। তো আপনার পাসওয়ার্ড এখন কতটুকু নিরাপদ মনে হচ্ছে !৫. ম্যালওয়্যার
ম্যালওয়্যার (Malicious Software) মানে ক্ষতিকারক কম্পিউটার প্রোগ্রাম। যে সকল প্রোগ্রাম কম্পিউটার এর ক্ষতির কারণ হয় সেগুলোকেই ম্যালওয়্যার বলে। যদি আপনি ইন্টারনেটে কোন ম্যালিসিয়াস ওয়েবসাইটে থাকেন, কোন পাইরেটেড মুভি ডাউনলোড করেন, পাইরেটেড সফটওয়্যার এবং গেমস ডাউনলোড করেন অথবা আপনার কাছে যদি কোন ম্যালিসিয়াস ইমেইল আসে তবে এগুলোর মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারটি ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। আপনি যদি কোন অজানা সোর্স থেকে আসা সিডি, ডিভিডি, বা পেনড্রাইভ আপনার কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট করেন তবে অফলাইনেও আপনার কম্পিউটার ম্যালওয়্যার আক্রান্ত হতে পারে।বাঁচার উপায় কী ?
প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, তা-ই বলে হ্যাকাররাও বসে নেই । হ্যাকারদের হাত থেকে আপনার একাউন্টটি বাচাতে অবশ্যই আপনাকে কয়েকটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে ।১। বড় ও জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। অক্ষর, চিহ্ন, সংখ্যা প্রভৃতি মিলিয়ে পাসওয়ার্ড জটিল করে তুলুন।
২। সর্বনিম্ন ৮ অক্ষরের পাসওয়ার্ড দিন। পাসওয়ার্ড যত বড় হবে হ্যাকারের তা বের করতে তত বেশি সময় লাগবে।
৩। মাসে অন্তত একবার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন। একই পাসওয়ার্ড বার বার ব্যবহার করবেন না।
৪। সহজে মনে রাখার জন্য সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না। আপনার কাছে যেটা সহজ সেটা হয়ত আগেই কোনো হ্যাকার ক্র্যাক করে রেখেছে।
৫। ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটের জন্য বা ব্যাংক একাউন্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড বা পিন কোড ব্যবহার করুন।
৬। আপনার একাউন্টে দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবহার করুন ।




No comments