আর নয় শহর, এখন গ্রামেই মিলবে চাকরি
গ্রামভিত্তিক একক সমবায় সংগঠনের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের কর্মসূচি
সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ক প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের
কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এ পর্যায়ে দেশের ৬৪ জেলার ১৬২টি উপজেলায় ১০ হাজার
৩৫টি গ্রামে কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করা হবে। এর মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামের সকল
পেশা ও শ্রেণির জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করে তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের
মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পটি পল্লী উন্নয়নের একটি সফল মডেল। প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি সমিতির নিজস্ব প্রশিক্ষিত বিষয়ভিত্তিক গ্রাম উন্নয়নকর্মী সৃষ্টি করা হয় এবং তাদের মাধ্যমে সরকারী সেবা দৃশ্যমানভাবে গ্রামে পৌঁছানো নিশ্চিত করা হয়। তৃতীয় পর্যায়ে সমিতিগুলোর মাধ্যমে মোট ১৪ লাখ ৩০ হাজার ১৬৩ জন দক্ষতা বৃদ্ধি ও আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডের ওপর প্রশিক্ষণ পাবেন। এছাড়া স্থানীয় সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার, নিজস্ব পুঁজি বিনিয়োগ এবং সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় গ্রামকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে প্রতিষ্ঠায় সমিতিগুলো ভূমিকা রাখে। এ পর্যায়ে সমিতির ক্ষুদ্র সঞ্চয় দিয়ে ৫১০ কোটি টাকার মূলধন গঠন এবং সেই মূলধন থেকে বিনিয়োগের মাধ্যমে ৩ লাখ ৫০ হাজার আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য নেয়া হয়েছে। এর আগে প্রকল্পের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায় সফলভাবে বাস্তবায়িত হওয়ায় তৃতীয় পর্যায়ে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সম্প্রসারিত এ অংশ বাস্তবায়নে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় হবে প্রায় ৩০১ কোটি টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, চাকরির জন্য আর শহরে আসতে হবে না। গ্রামে গ্রামেই মিলবে চাকরি। আমরা গ্রামগুলোকে সেভাবেই ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। বর্তমানে সরকার যে সব প্রকল্পের অনুমোদন দিচ্ছে, সেগুলোর দুই-তৃতীয়াংশই গ্রামকেন্দ্রিক। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গ্রামগুলো স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধশালী হবে। এছাড়া ১০০টি বিশেষ ইকোনমিক জোনও গ্রামেই হচ্ছে, যেখানে হাজার হাজার বেকারের কর্মসংস্থান হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচীটি চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে (এডিপি) বরাদ্দহীনভাবে অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর অনুমোদনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে তৃতীয় পর্যায় বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ভূমিহীন, বিত্তহীন ও দুস্থ লোকদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা এবং একটি গ্রামের সব শ্রেণী-পেশার লোকের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী সংগঠন সৃষ্টির মাধ্যমে পল্লী উন্নয়নের কার্যকর পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য কুমিল্লায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) গবেষণা চালায়।
এই গবেষণার ফলস্বরূপ তৈরি হয় সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচী (সিভিডিপি) মডেল। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন ৪টি সংস্থা যেমন- বার্ড, কুমিল্লা-আরডিএ, বগুড়া, বিআরডিবি এবং সমবায় অধিদফতরের মাধ্যমে ২০০৫ সালের জুলাই হতে ২০০৯ সালের জুন পর্যন্ত ১৮টি জেলার ২১টি উপজেলায় মোট ২৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সিভিডিপির প্রথম পর্যায় এবং ২০০৯ সালের জুলাই হতে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬৪টি জেলার ৬৬টি উপজেলায় ৯৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়িত হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য এ.এন. সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী বলেন, তৃতীয় পর্যায়ে ১০ হাজার ৩৫টি সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে মোট ১৪ লাখ ৩০ হাজার ১৬৩ জনকে দক্ষতা বৃদ্ধি ও আয়বর্ধক কর্মকা-ের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং সমবায় সমিতিগুলোর সদস্যদের ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে মূলধন গঠন ও এই মূলধন থেকে বিনিয়োগের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছে- সার্বিক গ্রাম উন্নয়নের জন্য গ্রামের ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী সব অধিবাসীকে সমবায় পদ্ধতির আওতায় আনার জন্য উদ্বুদ্ধকরণ, গ্রামের প্রাপ্তবয়স্ক সব নাগরিকের সমন্বয়ে প্রতি গ্রামে ১টি করে মোট ১০ হাজার ৩৫টি গ্রামে সমবায় সমিতি গঠন, ১৪ লাখ ৩০ হাজার ১৬৩ জনকে দক্ষতা বৃদ্ধি, আয়বর্ধক কর্মকা- ও তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, সমবায় সমিতির সদস্যদের ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে মোট ৫১০ কোটি টাকার মূলধন গঠন, এই মূলধন থেকে বিনিয়োগের মাধ্যমে ৩ লাখ ৫০ হাজার আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি এবং প্রতিটি সমবায় সমিতির জন্য গ্রাম উন্নয়ন কর্মী তৈরি করা, যারা সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সমবায় সমিতির যোগাযোগ স্থাপন করবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পটি পল্লী উন্নয়নের একটি সফল মডেল। প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি সমিতির নিজস্ব প্রশিক্ষিত বিষয়ভিত্তিক গ্রাম উন্নয়নকর্মী সৃষ্টি করা হয় এবং তাদের মাধ্যমে সরকারী সেবা দৃশ্যমানভাবে গ্রামে পৌঁছানো নিশ্চিত করা হয়। তৃতীয় পর্যায়ে সমিতিগুলোর মাধ্যমে মোট ১৪ লাখ ৩০ হাজার ১৬৩ জন দক্ষতা বৃদ্ধি ও আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডের ওপর প্রশিক্ষণ পাবেন। এছাড়া স্থানীয় সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার, নিজস্ব পুঁজি বিনিয়োগ এবং সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় গ্রামকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে প্রতিষ্ঠায় সমিতিগুলো ভূমিকা রাখে। এ পর্যায়ে সমিতির ক্ষুদ্র সঞ্চয় দিয়ে ৫১০ কোটি টাকার মূলধন গঠন এবং সেই মূলধন থেকে বিনিয়োগের মাধ্যমে ৩ লাখ ৫০ হাজার আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য নেয়া হয়েছে। এর আগে প্রকল্পের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায় সফলভাবে বাস্তবায়িত হওয়ায় তৃতীয় পর্যায়ে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সম্প্রসারিত এ অংশ বাস্তবায়নে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় হবে প্রায় ৩০১ কোটি টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, চাকরির জন্য আর শহরে আসতে হবে না। গ্রামে গ্রামেই মিলবে চাকরি। আমরা গ্রামগুলোকে সেভাবেই ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। বর্তমানে সরকার যে সব প্রকল্পের অনুমোদন দিচ্ছে, সেগুলোর দুই-তৃতীয়াংশই গ্রামকেন্দ্রিক। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গ্রামগুলো স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধশালী হবে। এছাড়া ১০০টি বিশেষ ইকোনমিক জোনও গ্রামেই হচ্ছে, যেখানে হাজার হাজার বেকারের কর্মসংস্থান হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচীটি চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে (এডিপি) বরাদ্দহীনভাবে অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর অনুমোদনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে তৃতীয় পর্যায় বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ভূমিহীন, বিত্তহীন ও দুস্থ লোকদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা এবং একটি গ্রামের সব শ্রেণী-পেশার লোকের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী সংগঠন সৃষ্টির মাধ্যমে পল্লী উন্নয়নের কার্যকর পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য কুমিল্লায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) গবেষণা চালায়।
এই গবেষণার ফলস্বরূপ তৈরি হয় সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচী (সিভিডিপি) মডেল। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন ৪টি সংস্থা যেমন- বার্ড, কুমিল্লা-আরডিএ, বগুড়া, বিআরডিবি এবং সমবায় অধিদফতরের মাধ্যমে ২০০৫ সালের জুলাই হতে ২০০৯ সালের জুন পর্যন্ত ১৮টি জেলার ২১টি উপজেলায় মোট ২৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সিভিডিপির প্রথম পর্যায় এবং ২০০৯ সালের জুলাই হতে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬৪টি জেলার ৬৬টি উপজেলায় ৯৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়িত হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য এ.এন. সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী বলেন, তৃতীয় পর্যায়ে ১০ হাজার ৩৫টি সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে মোট ১৪ লাখ ৩০ হাজার ১৬৩ জনকে দক্ষতা বৃদ্ধি ও আয়বর্ধক কর্মকা-ের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং সমবায় সমিতিগুলোর সদস্যদের ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে মূলধন গঠন ও এই মূলধন থেকে বিনিয়োগের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছে- সার্বিক গ্রাম উন্নয়নের জন্য গ্রামের ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী সব অধিবাসীকে সমবায় পদ্ধতির আওতায় আনার জন্য উদ্বুদ্ধকরণ, গ্রামের প্রাপ্তবয়স্ক সব নাগরিকের সমন্বয়ে প্রতি গ্রামে ১টি করে মোট ১০ হাজার ৩৫টি গ্রামে সমবায় সমিতি গঠন, ১৪ লাখ ৩০ হাজার ১৬৩ জনকে দক্ষতা বৃদ্ধি, আয়বর্ধক কর্মকা- ও তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, সমবায় সমিতির সদস্যদের ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে মোট ৫১০ কোটি টাকার মূলধন গঠন, এই মূলধন থেকে বিনিয়োগের মাধ্যমে ৩ লাখ ৫০ হাজার আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি এবং প্রতিটি সমবায় সমিতির জন্য গ্রাম উন্নয়ন কর্মী তৈরি করা, যারা সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সমবায় সমিতির যোগাযোগ স্থাপন করবে।
No comments