‘হজ ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম হলে কঠোর শাস্তি’
তিনি বলেন, হজ প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা
৩০মে ২০১৬ এর মধ্যে জমা দিয়ে হজের নিবন্ধন কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
অধ্যক্ষ মতিউর রহমান রবিবার সকালে
সচিবালয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০১৬ সালে হজ গমণেচ্ছুক হজযাত্রীদের
প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব
মো. আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রাক-হজ নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শহীদুজ্জামান, যুগ্মসচিব মো.
আমজাদ আলী, জাকির আহমেদ, ডা. বোরহান উদ্দিন, যুগ্মসচিব (হজ) মীর মো. নজরুল ইসলাম,
হজ কার্যালয়ের পরিচালক, ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব
বাংলাদেশ’র (হাব) সভাপতি ইব্রাহিম বাহার, মহাসচিব শেখ মো. আবদুল্লাহ,
বিভিন্ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং এটুআই প্রকল্পের প্রতিনিধিগণ এ
সময় উপস্থিত ছিলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষের
সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনাকেও ডিজিটাল হজ ব্যবস্থাপনায়
রূপান্তরিত করা হয়েছে। হজ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার পাশাপাশি হজে যেতে
ইচ্ছুকরা যাতে কোন প্রকার হয়রানি ছাড়াই সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হজ পালন করতে পারে সে
লক্ষ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বছর প্রাক-হজ নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে বলে তিনি
উল্লেখ করেন।
অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, হজের
প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিয়োগকৃত আইটি
প্রতিষ্ঠান বিজনেস অটোমেশন লিমিটেড প্রয়োজনীয় সফটওয়ার প্রস্তুত, স্থাপন এবং
পরীক্ষামূলক নিবন্ধন কাজ সম্পন্ন করেছে।
তিনি বলেন, এছাড়াও নিবন্ধন প্রক্রিয়ার
সঙ্গে যুক্ত হজ অফিস, ডিসি অফিস, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, হজ
এজেন্সির প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ প্রদান
সম্পন্ন করা হয়েছে। অনুমোদিত হজ এজেন্সি এবং ব্যাংকসমূহের তালিকা প্রকাশ করা
হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আইটি প্রতিষ্ঠানকে
ব্যাক-আপ সাপোর্ট দেয়ার জন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল’র সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন
করা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ টু আই কার্যক্রমের সাহায্য নেয়া
হয়েছে।
তিনি জানান, সাইবার দুর্ঘটনা বা অন্য
যেকোন অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা
হয়েছে। অর্থাৎ ই-হজ সিস্টেম চালু করার জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
ধর্মমন্ত্রী জানান, ২০১৬ সালের
হজচুক্তি অনুসারে এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন হজযাত্রী হজে যেতে
পারবেন। এর মধ্যে সরকারী ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার এবং অবশিষ্ট ৯১ হাজার ৭৫৮ জন
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করতে পারবেন। এ বছরের হজচুক্তি অনুসারে অনুমোদিত
প্রত্যেক হজ এজেন্সিকে সর্বনিন্ম ১৫০ জন হজযাত্রী প্রেরণ করতে হবে। যা গত বছর ছিল
৫০ জন।
No comments